বিশেষ প্রতিনিধিঃ শামীম হোসাইন হৃদয়
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার রাজনীতিতে একটি সুপরিচিত নাম আফজাল হোসেন ভূইয়া । ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে দলীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন সংগ্রামী ও জনবান্ধব রাজনীতিক হিসেবে। বিএনপির প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসা আর গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার তাকে রাজনীতির কণ্টকাকীর্ণ পথে আজও অবিচল রেখেছে।
ছাত্র রাজনীতি থেকেই পথচলা-১৯৯৪ সালে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে গোপালদী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আফজাল হোসেনের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু। এরপর ২০০১ সালে তিনি আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তরুণ বয়সেই নেতৃত্বের গুণে দলীয় ও সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেন। সময়ের পরিক্রমায় তিনি যুবদলের ১ নম্বর সদস্য, গোপালদী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে আড়াইহাজার থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ত্যাগ, সংগ্রাম ও সাহসের গল্প-আফজাল হোসেনের রাজনৈতিক জীবন কখনোই মসৃণ ছিল না। ১৯৯৬ সালেই তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হয়। এরপর বারবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। ২০২৩ সালে একটি আন্দোলন সংগ্রামে যেয়ে তার পা ভেঙে যায়, কিন্তু মানসিক শক্তিতে এতটুকু ভাটা পড়েনি।
এক সময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার ব্যবসায় প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। কিন্তু সেই ক্ষতিগুলো তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বরং আরও বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
গোপালদী বাজারে বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে যখন পুলিশি হামলার মুখে পড়ে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ছিলেন, তখন বুক চিতিয়ে সামনে দাঁড়ানো সেই নেতার নাম আফজাল হোসেন ভূইয়া । নিজের এই ত্যাগী নেতার আন্দোলন সংগ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও দলের কর্মীদের রক্ষা করেন এবং আওয়ামী দোসর ফ্যাসি বাদের বিরুদ্ধে পুলিশের আততায় হামলায় তার একটি বাঁম পা ভেঙে যায় আজ অবধি সে পা নিয়ে নিয়মিত দলকে দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
জনসম্পৃক্ততা ও মানবিকতা-দলীয় পরিচয়ের বাইরে আফজাল হোসেনকে এলাকার সাধারণ মানুষ একজন জনদরদী নেতা হিসেবে জানেন। গরীব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, চিকিৎসার খরচ চালিয়ে দেওয়া কিংবা বিপদগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য করা—এসব যেন তার নিত্যদিনের স্বাভাবিক কাজ।
এক স্থানীয় বৃদ্ধ বলেন, “উনি নেতা হলেও মানুষটা আসলেই দরদি।
তার রাজনৈতিক দর্শন-রাজনীতি তার কাছে ক্ষমতা বা পদ নয়—মানুষের সেবা করার মাধ্যম। তিনি বলেন, আমার জীবনে শেষ ইচ্ছে হলো রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই এবং ভালোবেসে মানুষের সাথে মিলেমিশে বাকি জীবন টা কাটিয়ে দিতে চাই।