ডেস্ক রিপোর্টঃ
দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় বন্দর উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে ও বিভিন্ন মার্কেটের দোকানপাটে দিনের পর দিন প্রতারক চক্র মানুষকে বিভিন্ন ফাদে ফেলে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে মদনপুর স্ট্যান্ডের ফুলহর ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের ফ্যান্টাসী এসি সেলুনে কাস্টমার সেজে এক প্রতারক অত্র সেলুনের রবিন নামে এক কর্মচারীর ১৪ হাজার ১ শত টাকা মূল্যের নতুন একটি মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়েছে। রবিন ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার দক্ষিণ সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সে গত ৩ মাস যাবৎ অত্র ফ্যান্টাসী এসি সেলুনে কাজ করছে।
জানা গেছে, শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেল আনুমানিক
৪ টায় কাস্টমার সেজে এক প্রতারক কারিগর রবিনকে মদনপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ি এলাকায় এক শিল্পপতির চুল কাটা, সেভ ও দাড়ি কালারের কথা বলে বাসায় নিতে আসে। ১ হাজার ৮ শত টাকায় এ সার্ভিস দেয়ার জন্য সম্মত হয়ে রবিনকে মার্কেটের সামনে থেকে একটি রিক্সাযোগে মদনপুর স্ট্যান্ডের দক্ষিণ থেকে উত্তর প্রান্তে যাবার পর টেস্ট অব টাউন নামক একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার অর্ডার দিয়ে রবিনকে কফি খেতে দেয়। এসময় মোবাইলে রিচার্জ নেই বলে ওই প্রতারক ব্যক্তি সেলুনের কারিগর রবিনের মোবাইল সেটটি ১ মিনিট কথা বলার জন্য নিয়ে কৌশলে কেটে পড়ে।
ভুক্তভোগী রবিন বলেন, কফি খাওয়ার সময় আমি কিছুক্ষণের জন্য স্মৃতিভ্রম হয়ে পড়ি। তখন চাওয়া মাত্র প্রতারককে আমি আমার ফোনটি দিয়ে দেই। কফির সাথে অচেতন করার জন্য কিছু মেশানো থাকতে পারে বলে আমার ধারণা। তৎক্ষনাৎ প্রতারক আমার মোবাইল ফোনটি নিয়ে কেটে পড়ে, বহু খোঁজার পরেও ওই প্রতারককে আর দেখতে পাইনি এবং সাথে সাথে আমার সিমটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রতারক চক্র।
এ ঘটনায় ফ্যান্টাসী এসি সেলুনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদিন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আমরা প্রতারককে দেখেছি, সে আমাদের অত্র অঞ্চলের নয়। কফি খেয়ে আমার সেলুনের কর্মচারী রবিন স্মৃতিভ্রম হয়ে পড়ে। এখানে টেস্ট অব টাউন রেস্টুরেন্টের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। কিছু কিছু রেস্টুরেন্টের যোগসাজশে প্রতারকরা তারা প্রতারণার কাজ করে অসহায় মানুষকে সর্বশান্ত করছে। প্রতারক চক্র নির্মূলে নজরদারী বাড়ানোর জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বন্দর থানাধীন নিকটস্থ ধামগড় ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন বলেন, 'প্রতারক চক্রদের ধরতে আমাদের নজরদারী অব্যাহত আছে, এ নজরদারী সামনে আরো বাড়ানো হবে'।